1) Dental Pharmacology (ডেন্টাল ফার্মাকোলজি)
সংজ্ঞাঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় ডেন্টালের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হয় তাকে ডেন্টাল ফার্মকোলজী বলে।
2) Antiplaque Agent (এন্টিপ্লাগ এজেন্ট)।
প্লাগঃ পরিমিত পরিছন্নতার অভাবে দাঁতের উপর ব্যাকটেরিয়া বা তাদের প্রডাক্ট দ্বারা যে আবরন পরে। তাকে ডেন্টাল প্লগ বলে। ইহা দেখতে হলুদাভ ক্রীমের মত এন্টিপ্লগ এজেন্ট (প্লাগ প্রতিরােধক বস্তু) যে ঔষধ বা দ্রব্য ডেন্টাল প্লাগ তৈরীতে বাধার সৃষ্টি করে বা বন্ধ করে তাকে এন্টিপ্লাগ এজেন্ট বলে । যেমন - ক্লোরােহেক্সিডিন।
3) Chlorohexidine (ক্লোরাে হেক্সিডিন)
ইহা ক্লোরােফেনাইল বি-গুয়ানাইড । ইহা ফাংগাস ধবংস করে। এছাড়া গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম
নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে ।
ব্যবহারঃ ইহা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় ।
১) মাউথ রিঞ্জঃ ২% ক্লোরােহেক্সিডিন জিনজিভাইটিস ও প্লাগ তৈরীতে বাধার সৃষ্টি করে।
২) ইরিগেটরঃ ৪০০ মি.লি সলিউসন প্রতিদিন ১ বার মুখে কুলি হিসাবে ব্যবহার করলে প্লাগ তৈরী সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ।
৩) জেলঃ ইহা প্রতিদিন ১-২ বার ব্যবহার করলে প্লাগ তৈরী বন্ধ হয় । ইহা অ্যাপথাস আলসারের তীব্রতা কমিয়ে দেয় ।
৪) ৪% সলিউসন ও এন্টিসেপ্টিক হিসাবে ব্যবহৃত হয় ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
১) বেশী ব্যবহার করলে দাঁতের পর হলদে দাগ পরে ।
২) ইহা স্বাদ অস্বাভাবিক।
৩) ইহা মুখে অনেক সময় ইরিটেসন করতে পারে।
4) Anticaries Agent (এন্টিক্যারিজ এজেন্ট) (ক্যারিজ প্রতিরোধ বস্তু)
ক্যারিজঃ প্যাথলজিক্যাল জীবানু দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়াকে ক্যারিজ বলে। এন্টিক্যারিজ এজেন্টঃ যে সকল বস্তু ক্যারিজ প্রতিরােধ করে তাকে এন্টিক্যারিজ এজেন্ট বলে। যেমন - ফ্লোরাইড।
5) Floride ( ফ্লোরাইড)
ইহা দুইভাবে পাওয়া যায়ঃ
১) সিস্টেমিক ফ্লোরাইডঃ যা খাওয়ার পর কাজ করে।
(a) কমার্সিয়াল পানি।
(b) ফ্লোরাইড সাপ্লিমেন্ট। যেমনঃ ট্যাবলেট, ড্রপ, লজেন্স আকারে পাওয়া যায়।
২) ট্রপিক্যাল ফ্লোরাইডঃ স্থানীয়ভাবে কাজ করে।
(a) মাউথ ওয়াশ- খাওয়ার পর কুলি করতে হয়।
(b) ওয়াটার সলুবল জেল - পানি দ্রবনীয় জেল।
(c) পেষ্ট - ফ্লোরাইড যুক্ত পেষ্ট।
(d) চুইংগাম।
6) Dentifrice (ডেনটিফ্রাইস)
কাজঃ 1) ব্যাকটেরিয়াল দাগ দূর করে।
i) পাথর বা ক্যালকুলাস।
ii) ষ্টেইন বা দাগ।
2) জিনজিভাইটি, প্রতিরােধ করে।
প্রকারঃ ১) পাউডার।
২) পেষ্ট।
7) Mouth Wash (মাউথ ওয়াশ)
ইহা এক প্রকার তরল জাতীয় পদার্থ যা মুখ গহ্বর পরিস্কার করতে ব্যবহৃত হয়। বাজারে ইহা বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়।
যেমনঃ
১) অরােফ্রেস (Orofresh) ২) বেটাডিন (Betadine)
৩) ওরালন (Oralon) ৪) ভাইওডিন (Viodin)
৫) এরােডিন (Arolin)। ৬) হাইড্রোজেন পারক্সাইড (H2 02)
৭) পভিসেপ (Povisep)।
ব্যবহারঃ
১) মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে।
২) ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে।
৩) মুখ পরিস্কার করতে।
8) Obtundents (অপটানডেন্টস)
ইহা এক প্রকার ঔষধ যাহা ব্যবহার করলে দাঁতের ক্যাভিটি করার সময় ব্যাথা হয় না।
যেমনঃ
১) কেভ অয়েল। ২) ইউজেনল ।
৩) ডেনটানল। ৪) সিলভার নাইট্রেট।
9) Haemostatic Or Coagulant (হেমষ্ট্যাটিক/ কোয়াগুলেন্ট)
ইহা রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে ।
যেমনঃ
(a) লােকালঃ
১) টেনিক এসিড। ২) সার্জিসেল
৩) বােন ওয়াক্স ৪) গ্ৰোমবিন।
b) সিস্টেমিক-ক্যাপরোলাসিন ।
10) Local Anesthetics(লােকাল এনাসথেটিকস)
ইহা এক জাতীয় পদার্থ যাহা ব্যবহার করলে ঐ জায়গায় ক্ষণস্থায়ী ভাবে অনুভতি থাকে না ।
যেমনঃ
১। লিডােকেন - প্রধানত ব্যবহৃত হয়। (Lidocaine) বাজারে Jasocaine নামে পাওয়া যায়।
২) বুপিভাকেইন। (Bupivacaine) ৩) প্ৰােকেইন।
৪) ইথাইল অ্যালকোহল স্প্রে- বাচ্চাদের দাঁত তােলায় ব্যবহৃত হয়। এড্রেনালিন ব্লাড প্রেসারকে বৃদ্ধি করে। তাই প্রেসারের রােগীদের এড্রেনালিন ছাড়া এনাসথেসিয়া। ব্যবহার করতে হয়।
11) Mummiffing agent (মামিফাইং এজেন্ট)
ইহা এক ধরনের ঔষধ যা রুট ক্যানাল এর পাল্প টিসু শুকানাের জন্য ও এন্টিসেপ্টিক হিসেবে। ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
১) ফরমালডিহাইড । ২) প্যারাফরমালডিহাইড । ৩) আয়ােডােফর্ম ।
0 মন্তব্যসমূহ