Root Cannal Treatment (T.C.T) রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট
কোথায় কোথায় করতে হবেঃ
১) একিউট পালপাইটিস - পাল্প ওপেন হয়ে প্রচন্ড ব্যাথা হলে। ২) এপিক্যাল রেজিওন এ ইনফেকসন হলে। ৩) পেরিএপিক্যাল রেজিওন এ ইনফেকসন হলে। ৪) পাল্প পোলিপ - পাল্প ইরফেকসন হয়ে ক্যাভিটি দিয়ে লাল হয়ে বের হয়ে আসা যেটা ছোয়া লাগলেই রক্ত পড়বে। ৫) আঘাত প্রাপ্ত দাঁত। ৬) দাঁত ক্রমাম্বয়ে কালো হয়ে গেলে । ৭) ক্রাউন ব্রীজ করার পূর।
কোথায় কোথায় (T.C.T) করা যাবে নাঃ
১) অস্বাভাবিক আকৃতির দাঁত। ২) দাঁত ভাল পজিসনে না থাকলে। ৩) জিনজিবার, নীচের পর্যন্ত বাঙ্গা গোড়া। ৪) বাঁকা ও বন্ধ ক্যানেল।
রুট ক্যানেলের যন্ত্র পাতির নামঃ
১) ব্রোচ - পাল্প একবারে আনা যায়। ২) রিমার - ক্যানেল খোজা / পাল্প কাটা। ৩) ফাইলঃ i) H- ফাইল। ii) K- ফাইল। } ক্যানেল মোটা বড় করার জন্য। ৪) স্কেলিং, গাটা পার্চা কোন, প্রদীপ সহ অন্যান্য। ৫) ফিলিং এর যাবতীয় যন্ত্র পাতি।
রিমার / ফাইলের বর্ণনাঃ রিমার ফাইলের সাথে মিল রেখে গাটা পার্চা কোন তৈরী।
সাইজ কালার কোড (রং) টিপ (মাথার) ডায়ামটার।
১০ হাল্কা গোলাপী .১০ মি.মি.
১৫ সাদা .১৫ মি.মি.
২০ হলুদ ২০ মি.মি.
২৫ লাল .২৫ মি.মি.
৩০ নীল .৩০ মি.মি.
৩৫ সবুজ .৩৫ মি.মি.
৪০ কালো .৪০ মি.মি.
৪৫ সাদা .৪৫ মি.মি.
৫০ হলুদ .৫০ মি.মি.
৫৫ লাল .৫৫ মি.মি.
৬০ নীল .৬০ মি.মি.
৭০ সবুজ .৭০ মি.মি.
৮০ কালো .৮০ মি.মি.
৯০ সাদা .৯০ মি.মি.
১০০ হলুদ .১০০ মি.মি.
ব্রচঃ কাটা তারের মত। রিমারঃ প্যাচানো তারের মত। ফাইলঃ খাঁচ কাটা।
* সামনের দাঁতের সাধারনত ৬০ / ৭০ নং পর্যন্ত লাগে। * পিছনের দাঁতে ৩০ / ৩৫ নং পর্যন্ত হলেও চলে।
দাঁতের রুটের (ক্যালের) দৈঘ্যঃ
উপরের দাঁতে নীচের দাঁতে ১- ২৩ মি.মি. ১- ২০-২১ মি.মি. ২- ২১-২২ মি.মি. ২- ২১ মি.মি. ৩- ২৬.৫ মি.মি. ৩- ২২.৫ মি.মি. ৪- বাক্কাল ২১ মি.মি. প্যালাটাল ২১ মি.মি. ৪- ২০-২১ মি.মি. ৫- ২১.৫ মি.মি. ৫- ২০-২১ মি.মি. ৬- মিজিওবাক্কাল- ২০-২১ মি.মি. ৬- মিজিওবাক্কাল ২০-২১ মি.মি. ডিসটো বাক্কাল- ২০-২১ মি.মি. মিজিওলিংগুয়াল ২০-২১ মি.মি. প্যালাটাল -২২ মি.মি. ডিসটাল-২১ মি.মি. ৭- মিজিওবাক্কাল- ১৯-২০ মি.মি. ৭- মিজিওবাক্কাল ১৯-২০ মি.মি. ডিসটো বাক্কাল- ১৯-২০ মি.মি. মিজিওলিংগুয়াল ১৯-২০ মি.মি. প্যালাটাল -২১ মি.মি. ডিসটাল-২০ মি.মি. ৮- রুট অনুযায়ী (পরিবর্তন শীল) ৮- রুট অনুযায়ী (পরিবর্তন শীল)
রুট ক্যানেলের ধাপঃ
১) ক্রাউন আইসােলেসন- নির্দিষ্ট করে দাঁত টা পরিস্কার করা/ থু থু কন্ট্রোল করা।
২) পাল্প চেম্বার (রাবর ক্রাউন কাটা- ক্যানাল বের করার জন্যঃ রাউন্ড/ ইনভারটেড কোন/ ফিসার। বার দিয়ে।
৩) পাল্প টিসু দুর করা – রিমার ফাইল ব্রচ দিয়ে।
৪) ক্যানাল মাপা-রিমার/ ফাইল দিয়ে অথবা গাটা পার্চা ক্যানালে দিয়ে (ডায়াগনষ্টিক) এক্স-রে এর মাধ্যমে।
৫) ক্যানাল তৈরী করা রিমার/ ফাইল ।
৬) ক্যানাল পরিস্কার করা-রিমার ফাইল ।
৭) ক্যানালে ঔষধ দেওয়া বিমার দিয়ে তুলার সাথে সিশিয়ে (সি. এম. সি. পি)।
৮) ক্যানাল সিল করা- গট পর্চা কোনের সাথে সিলার (জিঙ্ক অক্সাইড ইউজেনল নরম করে)।
মিশিয়ে ক্যানাল সিল করে উপরে ফিলিং দেয়া।
চিকিৎসাঃ
যে দাতটা রুট ক্যানেল করতে হবে সেটা এক্স-রে মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে । রুট ক্যানেল শুরুর
একদিন আগে ঔষধ খেতে পারলে ভাল।
1) Cap. Amoxycilline 250/ 500mg 1+1+1 - ৫ দিন।
Or বেশী ইনকসন হল।
Cap. Cephalexin / Sefradie 500mg 1+1+1 - ৫ দিন ।
Tab. Diclofenac-SR/TR/ Naproxen 250 mg 1+0+1 ব্যাথা হলে ও পেটে।
Tab. Ranitidine 150/300 mg 1+0+ 1 / Tab. Antacid 1 + 1 + 1 চুষে ।
পদ্ধতীঃ
থমে দাঁতটা না সনাক্ত করে এনাসথেসিয়া দিয়ে দাঁতটা অবস করে নিতে হবে। (পাল্প মরে গেলে
অবশ লাগে না) তারপর, রাউন্ড / ইনভারটেড কোন বার দিয়ে পাল্প চেম্বান বরাবর গর্ত করতে হবে। বার পাল্প চেম্বারে ঢুকালে একটু নরম মনে হবে। (বেশী কাটা যাবে না) বেশী নীচেয় গেলে রুট এর সংযোগ স্থল, রুট কেটে আলাদা হয়ে যাবে। অথবা ক্রাউনের যে কোন পাশ দিয়ে ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। পাল্প চেম্বার পাবার পর চিকন ছােট রিমার নিয়ে ক্যানাল এর অবস্থান করে। ক্যানালের মুখ খুজতে হবে। রক্ত পড়লে রক্ত তুলা দিয়ে বন্ধ করতে হবে। তারপর কসটিনাফ ফোর্ট (ডিভাইটালাইজিং পেসষ্ট) চেম্বারে একটু দিয়ে তার উপর সামান্য তুলা দিতে হবে, তার উপর। অস্থায়ী ফিলিং দিতে হয়। ৪-৫ দিন পর অস্থায়ী ফিলিং তুলে তুলা সরিয়ে চেম্বার পরিস্কার করতে হয় (স্কাভেটর দিয়ে) । অতপর বিমার/ ফাইল দিয়ে ক্যানাল পরিস্কার করতে হয়। রিমার / ফাইল ছোট থেকে বড় ব্যবহার করতে হয় (প্রথমে ১৫-২০-২৫-৩০ প্রয়ােজন মত)। মাঝে মাঝে নরমাল সালাইন নিয়ে ওয়াশ করতে হয়। ২য় দিনে একটু ব্যাথা থাকতে পারে। তারপর রিমারের গায়ে তুলা চিকন করে জড়িয়ে সি. এম, সি, পি তে ভিজিয়ে (সামান্য পরিমান) প্রত্যেকটি ক্যানালে দিয়ে বাম দিকে সামান্য মােচর দিয়ে ক্যানালে তুলা রেখে বিমার বের করে আনতে হয়। পাল্প চেম্বারে একটু তুলা দিয়ে তার উপর অস্থায়ী ফিলিং দিতে হয়। দাঁতের এপেক্স-এ পুজ / ইনফেকসন থাকলে ওপেন রাখতে হয়। ২-৩ দিন পর আসলে অস্থায়ী ফিলিং তুলে তুলা সরিয়ে ক্যানাল থেকে তুলা বের করতে হয়। তারপর রিমার/ ফাইল দিয়ে আবার পরিস্কার করতে হয়। রিমার/ ফাইল যতটক যায় ততটুকুই দিতে হবে। বেশী দিলে এপেক্স ছিদ্র হয়ে যাবে। সর্বশেষ যে নম্বরের রিমার/ ফাইল ব্যবহার করা হয়েছিল এর নম্বর অনুযায়ী জি. পি. কোন (গাটা পার্চা কোন) যতটুকু গিয়েছিল, রিমারের গার্ড দিয়ে মেপে। কেটে ক্যানালে দিয়ে ডায়াগনষ্টিক এক্স-রে করতে হয়। এক্স-রে নিজের ক্লিনিকে না থাকলে জিপি দিয়ে উপরে তুলা দিয়ে হাল্কা ভাবে অস্থায়ী ফিলিং দিতে হয়। এক্স-রে আসার পর (ঐদিন / পর দিন) ক্যানাল থেকে গাটা পার্চা বের করে মাপতে হয়। এক্স-রে যদি দেখা যায় গাটা পার্চা এপেক্স- এর সমান হয় নাই।( কম আছে) তাহলে সেই অনুযায়ী রিমার/ ফাইল মেপে পরিস্কার করতে হবে। আর যদি এপেক্স দিয়ে বের হয়ে যায় তাহলে সে অনুযায়ী কমিয়ে পরিস্কার করতে হয় । ডায়াগনষ্টিক এক্স-রে পাওয়া দৈর্ঘ্য ও গাটা পার্চা নম্বর। লিখে রাখতে হয়। এভাবে দাঁতের ডেসিং করতে হয়। ২-৩ টা ডেসিং দিলেই হয়। যখন দাঁতে ব্যাথা থাকে না তখন সিল বন্ধ করতে হয়। সিল করার জন্য সিলার (জিঙ্ক অক্সাইড নরম করে গােলাতে হয়) ( বাজারে সিলার কিনতে পাওয়া যায়) বানাতে হয়। এবার উপরের অস্থায়ী ফিলিং তুলে সমস্ত তুলা বের করে নরমাল স্যালাইন দিয়ে ওয়াশ করে ভালভাবে দাঁতটা পরিস্কার করতে হয় । মুলত সিলের উপর চিকিৎসা নির্ভর করে।
এবার রিমারের সাথে তুলা পেচিয়ে প্রতিটি ক্যানাল ভাল ভাবে শুকনা করতে হবে। তারপর ডায়াগনষ্টিক এক-রে পাওয়া দৈর্ঘ্য ও নম্বর অনুযায়ী গাটা পার্চা মেপে দাগ দিয়ে রাখতে হবে । ক্যানাল অনুযায়ী নম্বর লিখতে হয়। এবার রিমারের গায়ে সিলার মিশিয়ে ক্যানালের ভিতরে দিয়ে ভালভাবে লাগাতে হয়। এর পর সেই ক্যানালের গাটা পার্চার গায়ে সিলার মিশিয়ে দাগ পর্যন্ত ক্যানালের মধ্যে দিতে হয় । ঐ ক্যানারের পাশ দিয়ে আরও ছােট নম্বরের গাটা পার্চা (যতটা যায়) তা ঢুকতে হবে। এভাবে সব গুলা ক্যানাল সিল করে স্কাভেটর / প্লাগারের মথা স্প্রিট ল্যাম্পে গরম করে ক্যাভিটির চেম্বার বরাবর- গাটা পার্চা কেটে দিতে হয়। তারপর ফসফেট / অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে বাকি গর্তটা ভরাট করতে হয়। সপ্তাহ খানেক পর স্থায়ী ফিলিং করতে হয়। অথবা ক্যাঁপ লাগিয়ে নিতে হয়।
রুট ক্যানেলের বিকল্প পদ্ধতীঃ
বর্তমানে রুট ক্যানালের বিকল্প হিসাবে একটা পদ্ধতী বের হয়। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র পাল্প সামান্য স্পর্শ করেছে সে ক্ষেত্রে করা যায়। এ জন্য ক্যাভিটি সাবধানতার সাথে পরিষ্কার করে ময়লা দূর করতে হবে।যদি পাল্প স্পর্শ করে তাহলে এ পদ্ধতী চলবে না।
পদ্ধতীঃ
(Ciprofloxacillin ১ ভাগ + Tetracycline ২ ভাগ + Metronidazole ১ ভাগ )
1 মােট= (250 mg) + (500mg) + (200mg)
উপরােক্ত ঔষধ গুড়া করে একত্রে মেশাতে হবে। তার পর ইউজেনল নরমাল স্যালাইনের সাথে মিশিয়ে পেস্টের মত করতে হবে। এবার ঐ পেষ্ট ক্যাভিটিতে দিয়ে অস্থায়ী ফিলিং দিতে হবে। ৩ সপ্তাহ পর অস্থায় ফিলিং এর একটা আস্তর লেয়ার রেখে স্থায়ী ফিলিং করতে হয়।
Partial Proctomy (পারসিয়াল পালপেকটমী)
পাল্পের কিছু অংশ কাটার নাম পারসিয়াল পাল্পেকটমী। এটা সাধারণত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করা হয়। তাছাড়া পাল্প পচে গেলে ( জীবন্ত পাল্প/ ভাইটাল পাল্প এর ক্ষেত্রে করা যায় না) করা যায়। প্রথমে দাঁতটা ভাল ভাবে পরিস্কার করে নিয়ে থু থু কন্ট্রোল করে ক্যাভিটি ভাল ভাবে পরিস্কার করে নিতে হয় । যাতে কোন কালো দাগ না থাকে। ধারাল স্ক্যাভেটর দিয়ে পাল্প এর উপরের সব ময়লা ফেলে দিলে পাল্প চেম্বার এর শেষ অংশ বা পাল্প ক্যানালের মুখ দেখা যায়। এবার নরমাল স্যালাইন দিয়ে ওয়াশ করে শুকনা করতে হবে। তার উপর ডিভাইটালাইজিং পেষ্ট বা ডাইকেল দিয়ে তার উপর তুলা দিয়ে অস্থায়ী ফিলিং দিতে হবে। ১-২ সপ্তাহ পর অস্থায়ী ফিলিং তুলে , তুলা সরিয়ে এর পর আবার ডাইকেল ( ক্যালসিয়াম হাইড্রক্লাইড) দিয়ে তার উপর অস্থায়ী ফিলিং দিতে হবে। ২-৩ সপ্তাহ পর অস্থায়ী ফিলিং এর আস্তর রেখে স্থায়ী ফিলিং করতে হয়।
0 মন্তব্যসমূহ