Deba dental

ডেন্টাল কেমিষ্ট্রি

 সূচিপত্রঃ

12) Glass Ionomer Cement (গ্লাস আয়ােনােমার সিমেন্ট) 

Dental Chemistry (ডেন্টাল কেমিষ্ট্রি)

 

1) Impression material (ইমপ্রেসন ম্যাটেরিয়াল) 

মুল দাঁতের ছাপ নেয়ার জন্য যেবস্তু ব্যবহার করা হয় তাকে ইমপ্রেসন ম্যাটেরিয়াল বলে ।

প্রকারভেদঃ  A) নন ইলাষ্টিকঃ

১) রিজিড (শক্ত)- যেমন – প্লাষ্টার অফ প্যারিস। 

২) প্লাষ্টিক ইমপ্রেসন কমপােজিসন ওয়াক্স।

B) ইলাষ্টিক ম্যাটেরিয়ালঃ

১) এলজিনেট - বেশী ব্যবহৃত হয়। ২) এগার এগার । ৩) গাটা পিরচা ।

 

2) Comp0 (কম্পো)

ম্যানিপুলেসন অফ কম্পোঃ কিভাবে কম্পাে দিয়ে মাফ নিতে হয় তা নিম্নে দেওয়া হলঃ

ইহা সিট আকারে পাওয়া যায়। প্রথমে ইহা ৫৫°c- ৬০°C তাপমাত্রার গরম পানিতে রাখা হয়। যখন ইহা নরম হয় তখন ট্রের মত আকার করে ট্রেতে রাখতে হয়। পরে ইহার উপর সেপারেটিং মিডিয়া হিসাবে ভেজলিন লাগিয়ে নরম অবস্থায় রােগীর মুখে দিয়ে চাপ দিতে হয়। শক্ত হলে বের করে আনতে হয়। ইহার সেটিং টাইম ৩-৫ মিনিট। 

* ইমপ্রেসনের সময় উপরের চোয়ালের সময় ট্রে দিয়ে ঠোঠগুলাে সামনের দিকে টেনে দিতে হয় ।

নিচের সময় ঠোট উপরে তুলতে হয় এবং জিহ্বা বাইরের দিকে, তালুতে লাগাতে বলতে হয়।

 ব্যবহার : ১) পর্নাঙ্গ দাঁত বানাতে মাফ নেয়ার জন্য । 

২) পারসিয়াল ডেনচার এর মাফ নেয়ার জন্য । 

৩) কোন কোন ক্ষেত্রে স্পেশাল ট্রে বানাতে ব্যবহৃত হয়।

 

3) Aginate (এলজিনেট)

 এলজিনেট মেশানোর নিয়মঃ 

ইহা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। প্রথমে পাউডার রাবার বলে পরিমান মত নিয়ে পরে পানি পরিমান মত নিয়ে ইসপেচুলা দিয়ে ভালভাবে মেশাতে হয়। যখন জেলীর মত হবে তখন ট্রেতে নিয়ে রােগীর মুখে চাপ দিতে হয়। শক্ত হলে বের করে আনতে হয় এর সেটিং টাইম- 5 মিনিট

*গরম পানিতে তাড়া তাড়ি সেট হয় তাই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হয়। যেহেতু সেটিং টাইম ৪

মিনিট তাই ন্যুনতম ১ ১/২ মিনিটের মধ্যে মেশাতে হবে। 

 

ব্যবহারঃ সটিক ভাবে মাফ নেওয়া যায়।

১) ক্রাউন বা ব্রীজ মাফ নেয়ার জন্য। 

২) পারসিয়াল ডেনচার এর ক্ষেত্রে। 

৩) অর্থোডন্টিক প্লেট তৈরী করার সময়।

 

4) Separating Media (সেপারেটিং মিডিয়া)

 দুই সেট প্লাষ্টার আলাদা করার জন্য যে দ্রব্য ব্যবহার করা হয় তাকে সেপারেটিং মিডিয়া বলে। 

কারভেদঃ A) ওয়েলী এন্ড গ্রেজী সাবসষ্টেনস) যেমন- ভেজলিন

B) সলুসনঃ ১) কোল্ড মোল সিল বেশী ব্যবহৃত হয়।  ২) জিপসাম প্রডাক্ট। 

ভেজলিন এর ব্যবহারঃ ১) ডেনচায়ের ফ্লাসকিং এর সময় ।  ২) মডেল আলাদা করতে।

 মডেলঃ ইমপ্রেসন থেকে দাঁতের যে পজিটিভ বানানাে হয় তাকে মডেল বলে। 


5) Plaster of paris (প্লাষ্টার অফ প্যারিস)

প্রকারঃ

১) অরডিনারী প্লাষ্টার- সেটিং টাইম ৭-১০ মিনিট। প্লাষ্টার ওয়াটার রেশিও => ৩-৫ঃ ১।

২) হার্ড প্লাষ্টার – সেটিং টাইম ১৫-২০ মিনিট। প্লাষ্টার ওয়াটার রেশিও- ৪-৫ঃ ১। 

৩) ইনভেসমেন্ট প্লাষ্টার- প্রাষ্টার ওয়াটার রেশিও => ৪ঃ১। 

৪) ইমপ্রেসন প্লাষ্টার প্লাষ্টর ওয়াটার রেশিও => ৩ - ৫ঃ১। 

৫) সলুবল প্লাষ্টার প্লাষ্টার ওয়াটার রেশিও => ৫ঃ১।

* অরডিনারী ও হার্ড প্লাষ্টার বেশী ব্যবহৃত হয় । 

 

অর্ডিনারী প্লাষ্টার ও ব্যবহারঃ

১) ওয়ার্কিং মডেল তৈরী করতে। 

২) ডেনচার বেজ আরটিকুলেশন করতে। 

ডি প্লাষ্টার ও ব্যবহারঃ

১) কমপ্লিট ও পারসিয়াল ডেটার তৈরীর ওয়াকিং মডেল তৈরী করার জন্য । 

২) ক্রাউন ও ব্রীজের মডেল বানানোর জন্য।

 

6) Dental wax (ডেন্টাল ওয়াক্স) 

যে পদার্থ দিয়ে ক্রাউন বা ডেনচার তৈরীর জন্য প্রথমে একটি সম্পূর্ন পেটান তৈরী করা হয় তাকে ওয়াক্স বলে। 

প্রকারভেদ A) পেটার্ন ওয়াক্সঃ

১) বেস প্লেট ওয়ার্ক বেশি ব্যবহৃত হয়। 

২) মডেলিং ওয়াক্স বেশী ব্যবহৃত হয়। 

৩) কাষ্টিং ওয়াক্স।

 

B) ইমপ্রেসন ওয়াক্সঃ

১) ইনলে ওয়াক্স। ২) রাইটিং ওয়াক্স 

৩) বিইটিং ওয়াক্স ।  

C) প্রােসেসিং, ওয়াক্সঃ

১) ইসটিকি ওয়ার।  ২) ইউটিলিটি ওয়াক্স।

বেস প্লেট ওয়াক্স শিট আকারে পাওয়া যায়। 

ব্যবহারঃ স্পেশাল ট্রে তৈরিতে করতে ব্যবহৃত হয়।

মডেলিং ওয়াক্সঃ ইহাকে ডেনচার ওয়াক্স ও বলে।

ব্যবহারঃ ১) স্থায়ী ও অস্থায়ী ডেনচার বেস এর পেটার্ন বানানাের জন্য ব্যবহৃত হয়। 

২) অক্লুসাল রিম বানানাের জন্য। ৩) একরাইলিক ক্রাউন এর পেটার্ন তৈরীতে।

 

7) Denture Base Matereals (ডেনচার বেস ম্যাটেরিয়ালস) 

যে ম্যাটেরিয়াল দ্বারা কৃত্রিম দাঁত বানানাের জন্য বেস তৈরী করা হয় যাহা ওরাল টিসুকে ঢেকে রাখে

তাকে ডেনচার বেস ম্যাটেরিয়াল বলে। 

প্রকার ভেদঃ A) মেটালিক ডেনচার বেস ম্যাটেরিয়ালঃ

১) গােল্ড এন্ড ইটস অ্যালয়। ২) ষ্টেইনলেস ষ্টিল । 

৩) ক্রোমাে কোবাল্ট অ্যালয় । 

B) নন মেটালিক ডেনচার বেস ম্যাটেরিয়ালঃ ১) থার্মোষ্টাটিক। 

২) থার্মোপ্লাষ্টিকঃ a) হিট কিউর একরাইলিক রেজিন । b) সেলফ কিউর একরাইলিক রেজিন।

 

8) Acrylic Resin (একবাইলিক রেজিন)

প্রকারঃ ২ প্রকার।

১) হিট কিউর – তাপে শক্ত হয় । ২) সেলফ কিউর- নিজে নিজে শক্ত হয়।

* বর্তমানে হিট কিউর বেশী ব্যবহৃত হয়। 

কমপােজিসন (হিট কিউর)

১) লিকুইড - মনােমার হিসাবে পরিচিত। 

২) পাউডার - পলিমার হিসাবে পরিচিত। 

প্রকার ও ব্যবহারঃ

১) পিং কিশ – কমপ্লিট ও পারসিয়াল ডেনচার তৈরীতে ব্যবহৃত হয় । 

২) ট্রান্স পারেন্ট (স্বচ্ছ) - অর্থোডন্টিক প্লেট তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। 

৩) ওপেক (অস্বচ্ছ) - কৃত্রিম দাঁত তৈরীতে ব্যবহৃত হয় ।

 

9) সেলফ কিউর 

কমপােজিসন ও প্রকার হিট কিউর এর মত। 

ব্যবহারঃ 

১) স্পেশাল ট্রে বানানাের জন্য ।

২) অর্থোডন্টিক ট্রে বানানাের জন্য। 

৩) সামনের দাঁতের ফিলিং হিসাবে। (এখন হয় না)। 

* সেলফ কিউর ক্ষতিকারক।

 

10) Filling material (ফিলিং ম্যাটেরিয়াল)

দাঁত সংরক্ষনের জন্য যে সকল পদার্থ ব্যবহৃত হয় তাকে ফিলিং ম্যাটেরিয়াল বলে। 

প্রকারভেদঃ 

১) মেটালিক, যেমনঃ সিলভার কপার- এমালগাম, সিলভার জিঙ্ক - এমালগাম।

* এটা এলয় /স্থায়ী ফিলিং হিসাবে পরিচিত। 

২) নন মেটালিক যেমনঃ 

i) ডেন্টাল সিমেন্ট। ii) গাটা পিরচা। iii) সেলফ কিউর একরাইলিক রেজিন।

 

11) Dental Cement (ডেন্টাল সিমেন্ট)

প্রকার ভেদঃ 

১) জিঙ্ক অক্সাইড ইউজেনল সিমেন্ট- বেশী ব্যবহৃত। অস্থায়ী ফিলিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

২) জিঙ্ক অক্সি ফসফেট সিমেন্ট ৩) জিঙ্ক অক্সি ক্লোরাইড সিমেন্ট।  ৪) জিঙ্ক অক্সি সালফেট সিমেন্ট। ৫) ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (বাজারে ডাইকেল নামে) লাইনিং হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৬) গ্লাস আয়ােনােমর সিমেন্ট । 

1,2,3,4 নংঃ ১) অস্থায়ী ফিলিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ২) লাইনিং ম্যাটেরিয়াল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

 

12) Glass Ionomer Cement (গ্লাস আয়ােনােমার সিমেন্ট) 

ইহা পাউডার ও লিকুইড় হিসাবে পাওয়া যায় । 

প্রকারঃ ১) অটোকিউর। ২) হিট কিওর। 

ব্যবহারঃ ১) কালার মেচিং ফিলিং হিসাবে সামনের দাঁতে । 

২) ক্লাস V ক্যাভিটিতে সব দাঁতে। 

৩) ক্রাউন ও ব্রীজ লাগানাের জন্য। 

৪) বাচ্চাদের দাঁতের স্থায়ী ফিলিং হিসাবে ।

 


 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ