Oral Surgery (ওরাল সার্জারী)
সংজ্ঞাঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় মুখের রোগের সার্জিক্যাল চিকিৎসা করা হয় তাকে ওরাল সার্জারী বলে ।
Extration (এট্রাকসন) দাঁত তােলা।
দাঁত তুলতে হলে নিম্নোক্ত বিষয় জানা দরকার।
১) অবশ করা ২)সঠিক যন্ত্রপাতি বাছাই ৩) রুট সম্পর্কে জানা।
A) Anesthesia (এনাসথেসিয়া) - অবশ করা। এর জন্য লােকাল এনাসথেসিয়া (L.A) ব্যবহার করা হয়। ১) উপরের দাঁতের জন্য - ইনফিলট্রেশন ।
২) নীচের দাঁতের জন্য ব্লক ।
1) ফিল্ড ব্লক 2) নার্ভ ব্লক।
৩) বাচ্চাদের দাঁতের জন্য ও ট্রপিক্যাল ।
* বাচ্চাদের সাধারণত স্প্রে বা জেল দিয়ে দাঁত তােলা হয়। তবে শক্ত হলে অবশ্যই ইনজেকসন দিতে হয়। যে দাঁত তুলতে হয় এনাসথেসিয়া ঐ দাঁতের রুট বরাবর ভিতরে ও বাইরে দিতে হয় ।
উপরের চোয়ালঃ ইনফিলট্রেশন দিতে হয়।
1,2,3,4,5, নং দাঁতের রুট বরাবর বাক্কালী ও প্যালাটালি ।
6, নং দাতের জন্যঃ 6/7 নং দাঁত এর মাঝে বাক্কালী ।
6 নং এর মিজিও বাক্কাল রুট বরাবর।
6 এর প্যালাটাল রুট বরাবর প্যাটালী।
7 নং দাঁতের জন্যঃ 6/7 নং দাঁতের যাবে বাক্কালী।
7 নং দাঁতের ডিসটো বাক্কাল রুট বরাবর প্যালাটালী।
7 নং দাঁতের প্যালাটাল রুট বরার গ্যালাটালী।
৪ নং দাঁতের জন্যঃ 6/7 নং দাঁতের মাঝে বাক্কালী।
৪ নং দাঁতের বাক্কালী
৪ নং দাঁতের প্যালাটল রুট বরাবর প্যালাটালী।
* উপরের দাঁতের জন্য বাক্কালী ১-২ টা এম্পল ও প্যালাটালী অল্প পরিমান দিলেই হবে। প্যালাটালী আস্তে আস্তে দিতে হবে এবং এনাসথেসিয়া দিলে ঐ জায়গাটা সাদা হয়ে যায় । পালাটাল রুটের এপেক্স কাছাকাছি দিতে হয় । ৰাক্কালী দিতে হয় ঠোট ও মাড়ীর সংযােগ স্থলে।
সুচ অর্ধেক বা অর্ধেকের একটু বেশী মাংসের মধ্যে দিলেই হবে।
নীচের চোয়াল ব্লকঃ
নীচের চোয়াল যে কোন দাঁত তােলার জন্য ব্লক দিতে হয় ৮ নং দাঁতের পেছনে। এর জন্য ৮ নং দাঁঁতের পিছনে বুড়া আঙ্গুল দিয়ে ( এঙ্গেল বরাবর) ইনটারনাল অবলিগ রিজ (খাজ) অনুভব করে সিরিঞ্জটা বিপরীত চোয়ালের ৩ ও ৪ নং দাঁতের উপর দিয়ে এনে খাঁজ বরাবর এনাসথেসিয়া ফেলতে হবে। তার পর সিরিঞ্জটা একটু বের করে এনে ঐ চোয়াল বরাবর সােজা করে একটু ভিতরে ঢোকাতে হবে এবং এনাসথেসিয়া দিতে হবে। ১-২ টা এম্পল দিলেই হয়। একসাথে দুই দিকে ব্লক দেওয়া যাবে না।
মেন্টাল ব্লকঃ
নিচের দাঁতরে জন্য ৪ ও ৫ নং দাতের মাঝে বাক্কালী (ম্যানডিবল এর অবস্থান বরাবর) পিছনে ও সামান্য নীচের দিকে এনাসথেসিয়া দিতে হবে। এক্ষেত্রে ১ ২ ৩ ৪ ৫ নং দাঁত অবশ হয়। যদি কখনও সামনের এক প্রিমােলার থেকে অন্য প্রিমােলার পর্যন্ত অবশ করতে হয় সেক্ষেত্রে মেন্টাল ব্লক দিতে হয়। যেমন- নীচের এপিসেকটমী।
* দুই দিকে ব্লক দিলে জিহ্বা অবশ হয়ে গলার মধ্যে চলে গিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হতে পারে। প্রয়ােজনে ৫-৬ টা পর্যন্ত এনাথেসিয়া দেওয়া যায়। বেশী দেওয়া ঠিক না।
অবশ হওয়ার লক্ষণঃ
A) উপরের দাঁতঃ
১) ফুলা ফুলা/ মােটা মােটা মনে হবে।
২) ভারী ভারী মনে হবে।
৩) চিন চিন করবে।
৪) ঠোটে অনুভূতি থাকবে না।
B) নীচের দাঁতঃ
১) ঠোট ও জিহ্বা ভারী লাগবে( অর্ধেক)।
২) চিন চিন করবে।
৩) ঠোটে অনুভুতি থাকবে না।
৪) মােটা মােটা মনে হয়।
৫) চোয়াল বাকা বাকা মনে হবে।
অবশ না হওয়া / দেরী হবার কারণঃ
১) সঠিক জায়গায় সুচ না গেলে।
২) দাঁতের গােড়ায় ইনফেকসন/ পুজ থাকলে।
৩) নীচের ক্ষেত্রে রুট ম্যানডিবুলার ক্যানালের মধ্যে থাকলে।
৪) উপরের ক্ষেত্রে রুট ম্যাক্সিলারী সাইনাসে থাকলে।
এসব ক্ষেত্রে নীচের ব্লক এর সাথে সাথে ইনফিলট্রেসনও দিতে হয়।
লােকাল এনাসথেসিয়ার জটিলতাঃ
A) সাথে সাথেঃ
১) কার্ডিয়াক এরেষ্ট । ২) সিনকোপ।
৩) একসাইটমেন্ট। ৪) ব্যাথা।
৫) সুচ ভাঙ্গ।
B) দেরীতেঃ
১) মুখ খুলতে অসুবিধা (ট্রিসমাস) ২) ইনফেকসন।
৩) ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ।
জটিলতার চিকিৎসাঃ
১) এনসথেসিয়া দেয়া বন্ধ করতে হবে।
২) রােগীকে আশ্বস্ত করতে হবে।
৩) রােগীকে মুক্ত বাতাসে মাথা নীচু করে রাখতে হবে।
৪) কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
কোথায় কোথায় এনাসথেসিয়া দিতে হবেঃ
১) দাঁত তােলার সময় ।
২) এবসেস হলে ড্রেইনেজ করার সময় ।
৩) এপিসেকটমী করতে।
৪) টিউমার , সিষ্ট অপারেসনের সময়।
৫) ভাঙ্গার চিকিৎসা করতে।
৬) রুট ক্যানেল করার সময়।
৭) কখনও ক্যাভিটি তৈরীর/ ক্যাপের ক্ষেত্রে কাটার সময়।
৮) ড্রাই সকেট এর চিকিৎসায়।
এনাসথেসিয়া ব্যবহার করা যাবে নাঃ
১) একিউট এসমা। ২) হৃৎপিন্ডের অসুখ।
৩) হেপাটাইটিস। ৪) ডায়াবেটিস ।
৫) ব্লিডিং ডিস অর্ডার ।
যন্ত্র পাতি বাছাইঃ
১) মাড়ি আলগা করা বা দাঁত ঢিলা (লুজ) করার জন্য এলিভেটর ব্যবহার করতে হয়।
২) দাঁত ধরে টান দেওয়ার জন্য ফরসেপ ব্যবহার করতে হয়।
* উপরের দাঁতের জন্য সােজা এলিভেটর ব্যবহৃত হয়।
* নীচের দাঁতের জন্য বাকা এলিভেটর ব্যবহৃত হয়।
ফরসেপঃ
উপরের দাঁতের জন্যঃ
1,2,3 আপার এনটেরিওর ফরসেপ।
4,5 - আপার প্রিমােলা ফরসেপ।
6,7,8- আপার মােলার ফরসেপ। (ডানে ও বামে আলাদা)। ফরসেপের মাথায় বিক থাকে এটা থাকবে বাক্কালীর দিক ।
* সব দাঁতের রুট তােলার জন্য চিকন মাথার রুট ফরসেপ ব্যবহৃত হয়।
নীচেরঃ
1,2,3 - লয়ার এনটেরিওর ফরসেপ।
4,5 - লয়ার প্রিমােলার ফরসেপ ।
6,7,8 - লয়ার মােলার ফরসেপ ।
* সব দাঁতের রুট তােলার জন্য চিন মাথার রুট ফরসেপ।
দাঁত তােলার পদ্ধতীঃ
অবশ করার পর প্রথমে এলিভেটর দিয়ে দাঁতের গােড়ার অংশ আলগা করতে হয়। তারপর
রুট বরাবর দাঁত ও হাড়ের সংযােগ হলে এলিভেটর দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিতে হয়। তারপর দুই দাঁতের মাঝে এলিভেটর দিয়ে এমন ভাবে চাপ দিতে হয় যেন পাশের দাঁতের কোন ক্ষতি না হয় । এজন্য বাম হাত দিয়ে দাঁতের গোড়ায় ধরে রাখতে হয়। এলিভেটর যাতে স্লিপ না করে সেজন্য আঙ্গুল দিয়ে গাটা দিতে হয় । এলিভেটরের খাজযুক্ত মাথা যে দাঁত তুলতে হবে সেই দাঁতের গায়ে লাগাতে হয়। এবং চাপটা সম্পূর্ণ এ দাঁতের উপর ফেলতে হয়। দাঁতটা যখন নড়ে তখন ফরসেপ দিয়ে ধরে টান দিতে হয়।
ফরসেপ দিয়ে ধরে টান দেওয়ার পদ্ধতীঃ
উপরেরঃ
1,2,3- রােটেটরী এবং নীচের ও বাক্কালী দিকে টান ।
4,5,6,7,8- প্রথমে বাক্কালী / প্যানাটালী তার পর বাক্কালী ও বাইরের দিকে ।
নীচেরঃ
1,2,3 - রোটেটরী এবং উপর ও বাকালী টান।
4,5,6,7,8 - প্রথমে বাক্কালী, তার পর লিংওয়ালী, তারপর উপর ও বাক্কালী টান দিতে হবে।
* দাঁতের গোড়া বাঁকা থাকলে, রুট যেদিকে বাঁকা সেই দিকে এলিভেটর দিয়ে চাপ দিতে হয়। যদি সবকটি রুট বাঁক থাকে তাহলে দাঁতটা কেটে রুটগুলাে আলাদা করে নিয়ে একটা একটা রুট আনতে হয়। কাটার আগে যতটা পারা যায় লুজ করে নিতে হবে।
* যদি শুধুমাত্র দাঁতের গােড়া থাকে তাহলে উপরের মাংস সরিয়ে প্রয়ােজনে (ধরা না গেলে) গােরা ও হাড়ের মাঝে ফিসার বার দিয়ে সামান্য কেটে আলগা করে নিতে হয়। তারপর এলিভেটর দিয়ে। একটু নাড়িয়ে রুট ফরসেপ দিয়ে টান দিতে হয়।
* আক্কেল দাঁত যদি শুয়ে থাকে / ইমপ্যাকটেড হয় বা উপরের থেকে দেখা না যায়। তাহলে এক্স-রেতে অবস্থান দেখে সেভাবে এলিভেটর দিয়ে নড়াতে হয়। যদি পাশের দাঁতের সাথে লক লেগে থাকে তাহলে উপরের মাংস কেটে আগে দাঁতটার অবস্থান সনাক্ত করতে হয়। তারপর দাঁত ও হাড়ের মাঝে যে জায়গায় বেশী লক সেখানে কেটে ছাড়িয়ে দিতে হয়। পাশের দাঁতের সাথে। লেগে থাকলে বার দিয়ে ৮ নং দাঁতের এক অংশ কেটে ছাড়িয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন। যেনো পাশের দাঁতর কোন ক্ষতি না হয়। দাঁত তোলার পর ভালভাবে পরিস্কার করে সমস্ত টুকরা ভালো মত নরমাল স্যালাইন দিয়ে ওয়াস করে বের পরে করে দিতে হয়। হাড়ের কোথায়ও উচু থাকলে ঘষে (বােন ফাইল) সমান করে দিতে হয়। রক্ত না আসলে খুচিয়ে রক্ত বের করে দিতে হয়। তারপর দুই দিকের মাংস টেনে জায়গায় এনে দিতে হয়। প্রয়ােজনে সেলাই দিতে হয়। তার উপর তুলা দিয়ে এক ঘন্টা পর তুলাটা ফেলে দিতে হয়।
দাঁত তােলার পর উপদেশঃ
১) তুলাটি - ১ঘন্টা পর ফেলবে। ২) নরম ও ঠান্ডা খাবে- পরবর্তী ২ ঘন্টা।
৩) বিপরীত দিক দিয়ে খাবে। ৪) জোড়ে কুলি করা যাবে না।
৫) গরম ও শক্ত কিছু খাওয়া যাবে না। ৬) ময়লা যেন না যায়। খাবার যেন না থাকে।
৭) তুলা ফেলার পর রক্ত পড়লে ঠান্ডা/ বরফ লাগাবেন।
দাঁত তােলার কারনঃ
১) বেশী গর্তযুক্ত দাঁত। ২) পালপাইটিস।
৩) এপিক্যাল এবসেস বেশী হলে। ৪) পেরিওডন্টাল অসুখ হয়ে নড়ে গেলে।
৫) ভাঙ্গা দাঁত। ৬) নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য জায়গায় গজানাে দাঁত।
৭) খুব বেশী বাঁকা দাঁত ( ৮নং)। ৮) ইমপ্যাকটেড দাঁত।
৯) অর্থোডন্টিক চিকিৎসার সময়। (ক্ষেত্র বিশেষ)
১০) বয়স হলেও দুধের দাঁত না পড়লে।
১১) মুখে অতিরিক্ত দাঁত। (সুপারনিউমেরারী)।
১২) ভাঙ্গা রুট।
দাঁত তােলা যাবে নাঃ
১) একিউট ইনফেকসন-ব্যাথা হবে, ফুলে যাবে ।
২) হৃৎপিন্ডে রােগ (অতিরিক্ত প্রসার) - রক্ত বন্ধ হয় না ।
৩) এনেমিয়া - ঘা শুকায় না।
৪) জন্ডিস ।
৫) ব্লিডিং ডিসঅর্ডার যেমন- ব্লাড ক্যান্সার, পার পুরা- রক্ত বন্ধ হয় না।
৬) ডায়াবেটিকস -ঘা শুকায় না, রক্ত বেশী পড়ে।
৭) যক্ষা । ৮) সিফিলিস । ৯) গর্ভাবস্থা ।
১০) নেহরাইটিস। ১১) গয়টার। ১২) একিউট সাইনুসাইটস।
অসুবিধাঃ
A) সাথে সাথেঃ
১) সিনকোপ - অজ্ঞান হওয়া। ২) সক।
৩) কার্ডিয়াক এরেষ্ট হার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া । ৪) হার্ট অ্যাটাক ।
৫) এলারজিক রি একসন। ৬) মুখ ফোলা।
৭) হেমাটোমা - রক্তের টিউমার।
৮) ম্যাক্সিলারী - সাইনাস এ রুট চলে যাওয়া । (উপরের ৬ নং)
৯) সুচ ভেঙ্গে যেতে পারে। ১০) টেমপ্রাে ম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট সরে যায়।
১১) পার্শ্ববর্তী - টিসু ক্ষত হওয়া। ১২) ম্যাক্ৰিলা, ম্যানডিবল ভেঙ্গে যেতে পারে।
১৩) দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে।
১৪) ম্যাকিলারী টিউবার সিটি ভেঙ্গে যেতে পারে (উপরের ৮ নং দাঁতে।
১৫) ভুল করে স্থায়ী দাঁত উঠানাে।
১৬) পার্শ্ববর্তী দাঁত নড়ে যেতে পারে।
B) দেরীতে অসুবিধাঃ
১) প্রচন্ড ব্যাথা। ২) অতিরিক্ত রক্ত পড়তে পারে।
৪) সিসট হতে পারে। ৫) মুখ খুলতে না পারা (ট্রিসমাস)
৬) ড্রাই সকেট।
সমস্যা দূরীকরনঃ
Syncope (সিনকোপ)ঃ হটাৎ রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে, হাত পা ছেড়ে দিবে।
চিকিৎসাঃ
রােগীকে ফ্লাট করে শুইয়ে দিতে হবে। মাথা নীচু ও পা উচু করে দিতে হবে। পানির ঝাপটা মুখে
দিতে হবে।
Cardiac arest (কার্ডিয়াক এরেষ্ট) ঃ
ফ্লাট করে শুইয়ে বুকের বাম দিকে (যেখানে হৃৎপিন্ড) থাকে সেখানে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে হবে। এছাড়া দুই বাহু ধরে ঝাকুনি দিতে হবে।
Haematoma( হেমাটোমা)ঃ
রক্ত বের করে দিতে হয়। স্যালাইন ওয়াশ করতে হয় । তারপর ঔষধ দিতে হয়।
Excessive bleeding (অতিরিক্ত রক্ত পড়া)ঃ
এড্রেনালিন কটন প্যাক দিতে হয়। ইনজেকসন এড্রেনালিন ভেঙ্গে তুলা করে ক্ষত জায়গায় দিতে হয়। ইনজেকসন তাড়া তাড়ি না পাওয়া গেলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড / এড্রেনালিন যুক্ত লােকাল এনাসথেসিয়া তুলায় মিশিয়ে দিতে হয়। এছাড়া - ট্যানিক এসিড / সার্জিসেল / থ্রোমবিন / বােন ওয়াক্স থাকলে সেটা দিতে পারলে ভাল। অথবা, Inj, Ciprolysine (ক্যাপরাে লাইসিন) দিয়ে প্যাক দিতে হয়। ইনজেকসন। ক্যাপরােলাইসিন ভেঙ্গে এক গ্লাস পানিতে দিয়ে খাইয়ে দিতে হয় ।
অথবা, শিরা, মাংসে ইনজেসন দেয়া যায়।
Dry socket (ড্রাই সকেট)ঃ
দাঁত তােলার পর সকেট ফাঁকা হয়ে প্রচন্ড ব্যাথা হলে।
কারণঃ
১) অতিরিক্ত খােচাখুচি করলে ।
২) দাঁত তােলার পর রক্ত বের না হলে।
৩) ওরাল কনট্রাসেপটিভ খাওয়া রােগী।
৪) দাঁত তােলার পর রােগী গরম কিছু খেলে।
৫) জোড়ে জোড়ে কুলি করে জমাট বাধা রক্ত বের করে দিলে ।
চিকিৎসাঃ
নরমাল স্যালাইন দিয়ে ভাল ভাবে ওয়াশ করে দিতে হবে। সকেটের গোড়ার মাড়ী থেকে রক্ত বের
করে দিতে হবে। তার পর তুলার প্যাক দিতে হবে। বেশী হলে ওয়াশ করে উপরে ইউজেনল। তুলার সাথে মিশিয়ে সয়েটের উপর দিতে হয়। এভাবে কয়েকবার ড্রেসিং দিলে ঠিক হয়ে যাবে ।
সাথে এনটিবায়টিক ব্যাথার ঔষধ দিতে হবে।
দাঁত তােলার জন্যঃ
1) Cap. Amoxycillin {250mg) 1+1+1 - ৫ দিন ।
2) Tab. Dilofenac SR/TR / 1+0+1
Or. Naproxen 250mg 1+0+1 ব্যথা হলে ভরা পেটে ।
3) Tab. Ranitidine 150 1+0+1
Or. Tab ErtaCid 1 + 1 + 1 চুষে।
দাঁত তােলার পর উপদেশঃ
0 মন্তব্যসমূহ