Deba dental

পেরিওডন্টালজী

 

 

Periodontology (পেরিওডন্টালজী)

 

Gingivitis Swelling (জিনজিবা ফোলা) 

কারনভেদঃ

i) ফাইব্রাস হাইপার প্লেসিয়া। ii) বংশগত, জন্মগত। iii) ঔষধের জন্য।

২) ইনফ্লামেটরী - (প্রদাহ)। i) ক্রনিক হাইপারপ্লাষ্টিক। ii) প্রেগনেন্সি ।

iii) লিউকেমিয়া। iv) স্কার্ভি। v) ডায়াবেটিস। 

 

মাড়ী দিয়ে রক্ত পড়ার কারনঃ

১) স্কার্ভি - ভিটামিন সি এর অভাবে বেশি হয়।

২) জিনজিভাইটিস- জিনজিবাতে প্রদাহ হলে।

৩) ব্লিডিং ডিস অর্ডার রক্ত জমাট না বাধার কারন জনিত রােগ যেমন- লিউকেমিয়া, পার পুরা। 

৪) দাঁতে প্লাগ হলে।

 

জিনজিভাইটিস (Gingivitis)

 জিনজিবার/মাড়ীর ইনফ্লামেশনকে জিনজিভাইটিস বলে। 

লক্ষনঃ 

১) লাল, ফোলা, মােটা জিনজিবা । ২) দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া।

৩) গাম এ পকেট তৈরী হওয়া। ৪) পাথর হওয়া। 

৫) মাড়ীতে ঘা হওয়া। ৬) মুখে দুর্গন্ধ হওয়া। 

৭) দাঁত শিন শিন বা মাড়ীর মাঝে মাজে হাল্কা ব্যাথা হয়।

৮) ঠান্ডা পানি ও মিষ্টি জাতীয় দাঁতের গােড়ায় ধরা।

 

চিকিৎসাঃ

i) ওয়াশ করা (Scaling) (স্কেলিং) ।

i) এন্টিবায়েটিক - Cap. Amoxycilline (250 mg) 1+1+1 -৫দিন। 

11) Tab, Metronidazole (200mg) 1+1+1 - ৩ দিন ।

iii) Tab. Vit-C 1+0+0 চুষে - ১০ দিন।

 

উপদেশঃ 

১) মাউথ ওয়াশ দিয়ে। দিনে ২/৩ বার কলি । কোন কিছু খাবার পরই ভাল করে কুলি করতে হবে।

২) ওরাল হাইজিং টিক রাখাঃ

a) ব্রাশঃ নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হয়। ব্রাশ আড়াআড়ি না করে ভিতরে বাহীরে উপরে নিচে ব্রাশ করতে হয়। ৩-৫ মিনিট ব্রাশ বলেই হয়। ব্রাশের পর হাত দিয়ে মাড়ী ভাল ভাবে ম্যাসেজ করত হয়। প্রতিদিন সকালে এবং রাত্রে ঘুমানাের আগে অন্তত ব্রাশ করতেই হবে।

b) ডেন্টাল ফ্লোস (Dental floss)-- দিয়ে দুই দাঁতের মাজে পরিস্কার করতে হয়।

c) ইন্টার ডেন্টাল ক্লিনার টুথ পিক ব্যবহার করবেন । 

 

স্কেলিং এর পদ্ধতীঃ 

ব্যাথা মুক্ত স্কেলিং করার জন্য বাড়ীতে লােকাল এনাসথেটিক জেল ভীতরে ও বাইরে ঘষে

লাগিয়ে দিতে হয়। ২/৩ মিনিট পর স্কেলিং শুরু করতে হয়। বার বার যাতে থু থু ফেলা না লাগে। সেজন্য রােগীর মুখে সাকার দিতে হয়। রােগীকে কাপড় দিয়ে গলা পর্যন্ত ঢেকে দিতে হয়। কেননা । স্কেলিং এ সময় পানি ছিটায়। কেলিং যে কোন এক দিক থেকে শুরু করতে হয়। স্কেলারের মাথা দুই দাঁতের মাঝে ও দাঁতের গোড়ার মাংসের মধ্যে ভালভাবে দিতে হয়। প্রথমে পাম গুলো সরাতে হয়। স্কেলিং সাধারনত ২/৩ দিনে করা ভাল।

দাগ উঠানাের জন্য পলিসিং করতে হয়। প্রথমে পলিসিং ম্যাটেরিয়াল (Depural Neo Peste) দাঁতের উপর লাগাতে হয়। এর পর পলিসিং কিট/ বার দিয়ে ঘষে দাগ গুলাে তুলতে হয়। হাতে স্কেলিং করা কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। রোগীরা ও কষ্টো পায়। এক্ষেত্রে, দুই দাঁতের মাঝেন ইনটার ডেন্টাল স্কেলার পাশের জন্য সাইড স্কেলার ব্যবহার করতে হয়। আমার ব্যাক্তি গতো উপদেশ- আলট্রাসনিক স্কেলার ব্যাবহার করা ভালো। আমি যেটা ব্যবহার করি। 

দাঁগ তােলার জন্য (T.S.R) Tooth stain remuver ব্যবহার করতে হয়। টিসুতে লাগলে ঘা বা পুড়ে যেতে পারে। এটা তুলায় মিশেয়ে সাবধানে শুধু দাগ যেখানে, সেখানে দিতে হয় । তারপর মাউথ ওয়াশ দিয়ে পরিস্কার করতে হয়।

 * দুই দাঁতের মাঝে (Pocket) পকেট হলে পকেটগুলাে খুব ভালভাবে পরিস্কার (Curatage)। কিউরেটজ করতে হয়। তারপর নরমাল স্যালাইন দিয়ে ওয়াশ করতে হয়। প্রয়ােজনে (Resorsinol Powder) রিসরসিনল ব্যবহার করা যায়। এটা ওয়াশ করার পর পকেটে দিতে হয়।

 

Sterilisation (স্টেরি লাইজেসন) জীবানু মুক্ত করা।

 লক্ষ্যঃ

 ১) যন্ত্রপাতি গুলাে জীবানু মুক্ত করার জন্য। 

প্রকারভেদঃ 

১) কেমিক্যাল স্প্রিট, স্যাভলন, হেক্ৰিসাল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্রভৃতি দিয়ে মুছতে হয় ।

২) বয়লিং- সিদ্ধ। যন্ত্র পাতি গুলাে পানিতে দিয়ে খুব ভালভাবে ফুটাতে হয়। 

৩) ড্রাই হিট- সরাসরি আগুনে পােড়ানো। 

৪) অটোক্লেভ - জীবানুমুক্ত করন মেশিন - সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হচ্ছে বর্তমানে । 

৫) গ্যাস- গ্যাসের মাধ্যমে জীবান মুক্ত করন।

 

Saliva থু থু কিভাবে রােধ করবেঃ

থুথু রোধ করার নিয়মঃ 

1) Antisialogue drag (এন্টিসায়ালগ ড্রাগ) 

i) Tab, Atropins Sulphate (এটোপিন সালফেট), 25-lmg 1 টা ২৪ ঘন্টা আগে। 

ii) Propanthlin Bromide (প্রোপানথেলিন ব্রোমাইড) 

2) Ejector (ইজেকটর) /Sucer (কর)। 

3) কটন (তুলা)। 

4) (Rubber) রাবার ড্যাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ