Crown (ক্যাপ)
ক্যাপ অর্থাৎ টুপি। দাঁতের উপর এটা বসানাে হয়।
প্রকারভেদঃ
১)একরাইলিক ২) পােরসেলিন ৩) মেটালিক।
সব সময় পােরসেলিন ক্যাপ করা ভাল।
কোথায় কোথায় ক্যাপ করতে হয়ঃ
১) অতিরিক্ত ভাঙ্গা দাত।
২) দাঁত কাল হয়ে গেলে।
৩) ম্যালপোসড অর্থাৎ বিকৃত আকৃতির দাঁতে।
৪) বাঁকা বা ঘুরানাে দাঁত।
৫) দুই দাঁতের মাঝে ফাঁকা জায়গা বন্ধ করতে।
৬) উচু দাঁত নিচু করতে।
৭) মাড়ী পর্যন্ত ভাঙ্গা দাঁতে পােষ্ট বসিয়ে কোর তৈরী করে ক্যাপ।
* অতিরিক্ত নড়া দাঁতে ক্যাপ না করা ভাল।
পদ্ধতীঃ
ক্যাপ করার আগে দাঁতের রুট ক্যানেল করে নিতে হয়। প্রথমে দাঁতটা কাটতে হয়। ছােট করতে
হয়। দাঁতের অবস্থান বুঝে কাটতে হয়। দাঁতের সবদিক ফিসার বার দিয়ে কেটে ছোট করতে হয় ।
দাঁতের গােড়ার মাংসের মধ্যেও ( ফ্রি জিনজিবা) কিছু কাটতে হয় যেন ক্যাপ ভালমত আটকে থাকে।
সাধারণত মাথার দিকটা গােড়া থেকে চিকন রাখতে হয়। কাটার পর ইমপ্রেসন নিয়ে মডেল বানাতে
হয়। সেই অনুযায়ী ক্যাপ বানাতে হয়। তারপর দাঁতটা শুস্ক করে ক্যাপের মধ্যে কম্পােজিট/ গ্লাস
আয়েনেমার মিশিয়ে চাপ দিয়ে দাঁতের সাথে লাগাতে হয়। তারপর অতিরিক্ত সিমেন্ট ফেলে
দিতে হয়।
একরাইলিক ক্যাপঃ
কিনতে পাওয়া যায় । সেটা দাঁতের সাথে মিল করে সিমেন্ট দিয়ে লাগিয়ে দিতে হয় ।
অথবা, দাঁতটা কাটারপর মডেল তৈরী করে মডেলের ঐ দাঁতটায় ভ্যাসলিন বা
কোল্ডমােলসিল দিতে হয়। তারপর কৃত্রিম দাঁত নীচের দিকে কেটে কেটে মডেলে অন্য দাঁতের
সাথে ঠিকমত মেশাতে হয়। তারপর দাঁতটা নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে সেলফ কিওর নীচের
প্যালাটাল/ লিংগুয়াল দিকে লাগাতে হয় এবং দুই দাঁতের মাঝ খানেও দিতে হয়। সেট হবার
পর খুলে এনে চারিদিক কেটে ক্যাপের মত করতে হয়। তারপর কম্পােজিট বা গ্লাস
আযেনােমার দিয়ে লাগিয়ে দিতে হয়।
মেটালিক ক্যাপঃ
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় ।
রং কাল, সেজন্য পিছনের দাঁতে করতে হয়। দাঁত কেটে মডেল বানিয়ে মডেলে মিলিয়ে
দেখে যেটা সেট হয় সেটা রাখতে হয়। প্রয়ােজনে উচু নিচ থাকলে কেটে ভাল মত সেট
করতে হয়। তারপর সিমেন্ট দিয়ে মুখে লাগিয়ে দিতে হয়।
পােরসেলিন ক্যাপঃ
এটা দেখতে মূল দাঁতের মত। সব সময় এটা করা ভাল। ল্যাব থেকে তৈরীর পর শুধ সিমেন্ট
দিয়ে লাগিয়ে দিতে হয়। এটা ক্ষয় হয় না। রং বদলায় না। এটাতে গর্তও হয় না, খুব শক্ত ।
ব্রীজঃ
কয়েকটা দাঁতে একসাথে ক্যাপ করলে তাকে ব্রীজ বলে।
যেমন- ১টা দাঁত না থাকলে ব্রীজ করতে হলে পাশের ২ টা দাঁতের রুট ক্যানেল করে ঐ দুইটাকে
সাপাের্ট দিয়ে মাঝের গ্যাপটা পূরন করতে হয়।
* ক্যাপ/ ব্রীজ লাগানাের পর উপদেশঃ
১) ক্যাপ করা দাঁত / ফিলিং করা দাঁত দিয়ে স্বাভাবিক সব খাবারই খাওয়া যাবে। তবে বেশী শক্ত খাবার/ হাড় না খাওয়াই ভাল।
২) ব্রীজ ক্যাপ লাগানাে দাঁত ভালভাবে পরিস্কার করতে হয়। প্রয়োজনে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা যায়।
৩) ক্যাপ করা দাঁত প্রতি বৎসর সম্ভব হলে ডাক্তারকে দেখানাে উচিত।
৪) প্রতিদিন খাবার পর মাউথ ওয়াশ/ গরম লবন পানি দিয়ে কুলি করা ভাল।
0 মন্তব্যসমূহ